হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। একই সঙ্গে দ্রুত নামছে তাপমাত্রার পারদ। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসজুড়ে পঞ্চগড় ও আশপাশের অঞ্চলে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। এ সময় দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সড়কে চলাচলরত যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।
উত্তরের হিমালয় থেকে নেমে আসা হিমেল বাতাস শীতের প্রকোপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের দাপট সবচেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে। সকালের কনকনে হিমেল হাওয়া শীতের আগমনী বার্তা দিলেও সূর্য ওঠার পর কিছুটা কমে আসে ঠাণ্ডার প্রভাব।
মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। সকাল ৯টায় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৭৮ শতাংশ, আর বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার। এর আগের দিন সোমবার তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হালকা কুয়াশায় মোড়ানো প্রভাতে বইছে শীতল উত্তরী বাতাস। প্রয়োজনীয় কাজে অল্প কিছু মানুষকে বাইরে বের হতে দেখা গেছে।
তালমা এলাকার অটোভ্যানচালক কামাল হোসেন বলেন, “জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন ভোরবেলায় অটোভ্যান নিয়ে বের হতে হয়। সকালে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা লাগে, শীতের কাপড় ছাড়া থাকা যায় না। সন্ধ্যার পর তো শীতবস্ত্র ছাড়া টেকাই কষ্টকর।”
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্র নাথ জানান, পঞ্চগড় জেলায় তাপমাত্রা ক্রমেই কমছে। নভেম্বরের শেষ দিকে একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে, তখন শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে। পরবর্তীতে ডিসেম্বরজুড়ে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে, যার ফলে তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। 
