চীন–জাপান সম্পর্ক আবারও উত্তপ্ত।
তাইওয়ান ইস্যুতে জাপানের অবস্থানের কারণে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন তীব্র হয়েছে। আর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে পর্যটন খাতে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি মন্তব্য করেন—
“চীন যদি তাইওয়ান আক্রমণ করে, জাপান সামরিকভাবে জড়িত হতে পারে।”
এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ চীন কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখায়।
চীন সরকার নাগরিকদের জাপানে ভ্রমণ না করার সতর্কতা জারি করেছে।
বাতিল হতে শুরু করেছে ভিসা প্রক্রিয়া ও নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এই উত্তেজনার প্রভাবে মাত্র কয়েক দিনে প্রায় ৫ লাখ চীনা পর্যটক তাদের জাপানগামী ফ্লাইট বাতিল করেছেন।
বিমান সংস্থা যাত্রীদের বিনা খরচে টিকিট বাতিলের সুযোগ দিয়েছে।
সিচুয়ান এয়ারলাইনস তো একধাপ এগিয়ে আগামী তিন মাসের সব জাপান -চীন রোড়ে বাতিল করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন— এটি কোভিড পরবর্তী সবচেয়ে বড় ফ্লাইট বাতিল।
জাপানের রিটেইল ও ভ্রমণ কোম্পানির শেয়ারও পড়ে গেছে।
তবে চীনা বিমান শিল্পের তেমন ক্ষতি হবে না—কারণ চীন–জাপান রুট তাদের মোট বাজারের তুলনায় খুবই ছোট।
উত্তেজনা কমাতে জাপান ইতোমধ্যে একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে বেইজিং পাঠিয়েছে।
তবুও প্রশ্ন থেকেই যায়—
তাইওয়ান ইস্যু কি দুই এশীয় পরাশক্তির সম্পর্ককে আরও সংকটময় দিকে ঠেলে দিচ্ছে?
