ই-রা-নের আকাশ প্রতিরক্ষায় রা-শিয়ার Su-35 বিমান । ভূমিকা নিউজ

0
30

ইরান রাশিয়ার কাছ থেকে 6 বিলিয়ন ইউরো মূল্যের 48 টি সুথ যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করেছে। 2026 থেকে 28 সালের মধ্যে এসব অত্যাধুনিক ফাইটার জেট ইরানের হাতে পৌঁছানোর কথা। ফাঁস হওয়ার নথি অনুযায়ী ইরান 48 টি সুথ যুদ্ধবিমান অর্ডার দিয়েছে। এটি দেশটিকে পুরনো ও সীমিত সক্ষমতার বিমান বাহিনীকে আধুনিক করার পথে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী অন্তত 48 টি সুথ মাল্টিরল যুদ্ধবিমান কিনতে মস্কোর সাথে বিশাল চুক্তি করেছেন। এসব ফাইটার মধ্যপ্রাচ্যের আকাশ দখল করতে আসছে। এই নতিটি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ইলেকট্রনিক্স নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কেআরইটি এর সরঞ্জাম সংক্রান্ত তালিকা থেকে পাওয়া যায়। সেখানে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত রুশ যুদ্ধবিমানের জন্য নির্ধারিত রাডার ও ইলেকট্রনিক্স সিস্টেমের বিবরণ ছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতিটি ছড়িয়ে পড়ার পরপরই প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের নজর আসে। তালিকায় ইরানের জন্য 48 টেস 35 এস ফাইটার জেটের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি এবং সরঞ্জামের কথা উল্লেখ রয়েছে। ইরানের বর্তমান যুদ্ধবিমান বহর অনেকটাই পুরনো প্রযুক্তি নির্ভর। দেশটির বিমান বাহিনীতে এখনো রয়েছে 1970 ও 80র দশকের মার্কিন তৈরি বিমান। এই বিমানগুলোর অনেকগুলি বর্তমানে যান্ত্রিক ও যন্তাংশের ঘাটতির কারণে অকার্যকর ও সীমিতভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া সোভিয়েত আমেলের মিক 299 এরও অল্প কিছু ইউনিট কার্যক্রম রয়েছে। 2025 সালের প্রথম ভাগে সংঘটিত ইরান ও ইসরাইলের সংঘাতের সময় এই দুর্বলতা স্পষ্টভাবে সামনে আসে। আধুনিক যুদ্ধবিমান ও উন্নত রাডার নেটওয়ার্কের অভাবে ইরান আকাশের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে পারেনি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ইরান সরকার দ্রুত ও আধুনিক যুদ্ধবিমান সংগ্রহে আগ্রহী হয়। সু 35 মূলত রাশিয়ার কিং বদন্তি সু27 ফ্ল্যাংকারের আধুনিক সংস্করণ। এটি এক আসনের বহু ভূমিকা পালনে সক্ষম যুদ্ধবিমান। আকাশে আধিপত্য বিস্তার ও স্থল আক্রমণ দুই ক্ষেত্রেই এটি ব্যবহৃত হতে পারে। এই যুদ্ধবিমানে রয়েছে টার্বোফ্যান ইঞ্জিন যা থার্স ভেক্টরিং প্রযুক্তির মাধ্যমে অসাধারণ কৌশলগত গতিশীলতা প্রদান করে। এই ইঞ্জিন বিমানকে সীমিত সুপার ক্রুজ ক্ষমতা দেয়। অর্থাৎ আফটার বার্নার ছাড়াই এটি কিছু সময়ের জন্য শব্দের বেগে উঠতে পারে। সু 35 এর আরেকটি বড় সুবিধা হলো এর শক্তিশালী ইরবিজ প্যাসিভ ইলেকট্রনিক্স স্ক্যান্ড এরে রাডার। এটি 400 km দূরত্বে 0.3মিটার রাডার প্রতিফলন ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে সক্ষম। এই রাডার ইরানকে দূরপাল্লার নজরদারী এবং শত্রুপক্ষের বৃহৎ বিমান শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা দিবে। বিমানটি বিভিন্ন ধরনের এয়ার টু এয়ার এবং এয়ার টু গ্রাউন্ড ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। এর মাধ্যমে আর37 নামের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষভাবে আলোচিত। ক্ষেপণাস্ত্রটি 300 কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম বলে জানা গেছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে ইরানের জন্য এই চুক্তি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও কেবল আধুনিক যুদ্ধবিমান সংগ্রহ করলেই পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন সম্ভব নয়। আধুনিক আকাশ যুদ্ধ ব্যবস্থায় শুধু ফাইটার জেট নয় বরং ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার প্ল্যাটফর্ম রিফলিং ট্যাংকার এবং সমন্বিত কমান্ড নেটওয়ার্ক অপরিহার্য। একজন ইরানি আইন প্রণতা জানিয়েছেন বিমান বাহিনীকে শক্তিশালী করতে স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইরানে পৌঁছেছে মিকট9 যুদ্ধ বিমান। ধীরে ধীরে আসবে আরো উন্নত সুকু 35 বিমান। দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হিসেবে এসব বিমানের আগমনের অপেক্ষায় তেহরান। তবে অন্তর্বর্তকালীন ব্যবস্থা হিসেবে বর্তমানে তেহরানের হাতে রয়েছে রাশিয়ার মিকট9। এর পাশাপাশি চীনের এস কিউ9 বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আর রুশ এস400 ব্যবস্থাও রয়েছে ইরানের হাতে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here